রুদ্ধ জীবন
- Get link
- X
- Other Apps
আমি দূরত্ব বুঝিনা তাই জীবনটা রুদ্ধ হলেও ইচ্ছেগুলো ছিল নির্বিশঙ্ক।কখনও বিচলিত, কখনও ভাবলেশহীন।সামাজিক ব্যাধিগুলো বিচ্ছিন্ন,বিয়োগান্তক হলেও বেশিরভাগ সময়ে জন্মজঠরে নতুন করে অংকুরিত হয়।আমি হই বেদনাহত আর স্বপ্নগুলো হয় অবিচ্ছিন্ন।এভাবেই, কাটবে, কেটে যাচ্ছে, নানারকম অজুহাতে ভর করে কালক্ষেপণ করে চলেছি জীবন প্রবাহে। নিজের সাথে এ এক অদ্ভুত প্রতারনা।এবারের প্রবারনা পূর্ণিমায় ফানুশ উড়িয়ে স্বপ্নযুদ্ধ রোধ করতে ছেয়েছিলাম,কিন্তু কি করে হবে বল?আনন্দ আর কষ্টের সন্ধিতে প্রকাণ্ড এক ফাটল, যার ফাক গলে কর্কট ব্যাধির মতো আবারও কষ্টগুলো জেঁকে বসেছে পুরোটা অস্তিত্ব জুড়ে।চারিপাশটা এতো বেশী নির্জন,যে কখনও কখনও মনে হয় আমি একজন পুরদস্তুর দ্বৈপায়ন। চারিধারে অথৈ সমুদ্র অথচ আজীবনকালের তৃষ্ণা ভর করেছে বুক জুড়ে।প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা জল তরঙ্গ দেখি আর মন মাঝির টাবুরে নাওয়ের অপেক্ষা করি।অরণ্যের বুক চিরে কবিতায় থিতু হবে এমনই এক কাব্যিক দুর্বৃত্তের খোঁজ করি প্রতিক্ষণে।যে কচুরিপনার ফুলে সুখ জড় করে প্রতিটি স্পন্দন কে স্থিমিত করে দেবে, এরপর রাত জুড়ে শিশির আর আঁধারের দ্বৈরথে রাধাচূড়ার আলপনা এঁকে ভালবাসার চৌকাঠে পা রেখে দুহাত ভরে স্বপ্ন ঢেলে দেবে।আজ তার দেখা পেলাম,কখনও কবিতায় দেখি, কখনও জিবন গল্পে দেখি তাকে।দু হাতে সে স্বপ্ন জড় করে আর আমি মুগ্ধতা পান করি।তুমি আসবে জানতাম ,তবে এতো আয়োজন করে আসবে সেটা ভাবিনি।কোনরকম প্রসাধন ছাড়া,একটি অনাড়ম্বর আগমন আমার জীবনকে আজীবনের স্থুতি গাইতে শেখাল। হয়তো এখানেই শেষ কিংবা এখানেই শুরু।তাতে কি আসে যায়,তোমার সৃষ্টিতে বিলীন হয়ে যেতে চাই অসমাপত কাব্য হয়ে।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment